সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
কিশোরগঞ্জ পাকুন্দিয়া বিদ্যুৎতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জন জীবন
শামীম আহমেদ পাকুন্দিয়া কিশোরগঞ্জ:// দৈনিক ঢাকার কন্ঠ নিউজ
গত এক সপ্তাহ যাবত দিনের বেলায় কিছুটা পাওয়া গেলেও রাতে আর বিদ্যুৎ এর দেখা মেলেনা। আকাশে মেঘ জমলেই কিংবা সামান্য বাতাস শুরু হলেই পালিয়ে যায় বিদ্যুৎ। এই প্রচন্ড তাপদাহে বিদ্যুতের বেলকিবাজীর শেষ নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে।
সব চেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। রাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে প্রচন্ড গরমের যন্ত্রণায় প্রতিটি বাড়িতে শোনাযায় শিশুদের কান্নার শব্দ । স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রয়েছে চরম বিপাকে। নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভোগান্তি। ঘন ঘন এমন লোডশেডিংয়ের কারণে কম্পিউটার, ফ্রিজ, পানির মোটর, ফটোকপি মেশিনসহ বিদুৎ চালিত যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার পথে।
এছাড়াও বাড়তি ভোগান্তি হিসেবে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত ভুতুরে বিল। একজনের বিল আরেকজনের নামে তৈরি করা দেওয়া হচ্ছে। শুন্য ইউনিট দেখিয়ে পূর্বের বিলের সাথে সামানজস্য রেখে বিল তৈরী করে,পরের মাসে আবার দুই মাসের ইউনিট একসাথে যোগ করে বিল তৈরী হয় সেই সাথে যোগ হয় ভুতুরে বিল। বিদ্যুতের নতুন সংযোগ ও খুঁটি সরানোর নামে একটি মহল হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান অর্থ। বিদ্যুত অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যেন আলাদিনের চেরাগ।
জনগনের এমন ভোগান্তি দেখার যেন কেউ নেই। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিদুৎয়ে সয়ংসম্পোন্ন যুগে এ ধরনের লোডশেডিং এর যন্ত্রনায় ফুঁসে উঠছে সাধারণ জনগন,,যে কোন সময় পুলেরঘাট এবং পাকুন্দিয়া পল্লী বিদ্যুতের অফিস ঘেরাও হতে পারে এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। পাকুন্দিয়া জোনাল অফিসে এ জিএম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ একটি জোনে কাজ চলছে আগামী এক সপ্তাহ লাইনে এই সমস্যা থাকবে । আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুত দেয়ার জন্য ।